গোঘাট ১ ব্লকের বিডিও কে বাড়িতে ঢুকতে বাধা , পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ভূমিকা পুলিশের

19th July 2020 6:57 pm হুগলী
গোঘাট ১ ব্লকের বিডিও কে বাড়িতে ঢুকতে বাধা , পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়া ভূমিকা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও  বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন  আরামবাগের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ।  অভিযোগ বাড়িতে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয় তাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেয়  অভিযোগ করেন বিডিও। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বারবার স্থানীয়দের বোঝাতে চাইলেও সকলেই বিরোধীতা শুরু করেন ।  বাসিন্দাদের অভিযোগ গোঘাট এক নম্বর ব্লক অফিসে  বেশ কয়েক জনের করোনা পজেটিভ  সেই খবর তারা পেয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ  বিডিওকে টেস্ট করিয়ে রির্পোট দেখাতে হবে। বিডিওকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না খবর যায় আরামবাগ থানায়। বিশাল  পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। প্রশাসন কথা বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাদের বোঝানো হয় করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের পরিসেবা দিচ্ছেন  বিডিও। আপনারা এই ভাবে সরকারি আধিকারিকে ঘরে ঢুকতে বাধা দিতে পারেন না। সমস্য হলে আপনারা প্রশাসনকে জানাতেন। প্রশাসনের কথা শুনতে চায়নি স্থানীয় বাসিন্দারা । পুলিশ লাঠি উচিঁয়ে তেরে গেলে বাড়ির সামনে থেকে পালায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে বিডিওকে ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা করেন । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত আধিকারিকরা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাদের সাথে এ ধরনের আচরণ কাম‍্য নয় বলে জানিয়েছেন সকলেই ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।